ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির সাধারন সম্পাদক হাসানের মুক্তি দাবী

জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক অনুসন্ধানী সাংবাদিক মোহাম্মদ হাসানুল আলম এর মুক্তি দাবী করে বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি এস.এম. জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক (জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক কর্মকর্তা) আবু বক্কর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্দী, জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি, চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি আজম খান এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক নেত্রী চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা। দৈনিক আমার সংগ্রাম পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রেবেকা সুলতানা রেখা চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্য অন্বেষণ করা সাংবাদিকসহ প্রত্যেক মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার। জাতিসংঘের সার্বজনীন বিশ্ব মানবাধিকার সনদের অনুচ্ছেদ: ১৯ এ তথ্য অন্বেষণ, গ্রহণ ও প্রদানের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ: ২৫ এ আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বিষয় সন্নিবেশিত। তাছাড়াও আমাদের দেশের তথ্য অধিকার আইন ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনে তথ্য অনুসন্ধানের অধিকার দেয়া আছে। সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে সঠিক তথ্য অনুসন্ধানে গেলে বাধাগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত কয়েক মাস ধরে এ বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করে আসছি। এতে সত্যিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে পুলিশের অসহিষ্ণুতার কারণে।
সাংবাদিক হাসানুল আলম বিভিন্ন সময়ে তথ্য অনুসন্ধান করায় পুলিশ প্রশাসনের সাথে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। তাই ১৪ ই অক্টোবর মীমাংসিত এক পারিবারিক বিষয়েকে ইস্যু করে পুলিশ ও কতিপয় সমাজবিরোধী লোক মামলা সাজিয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ ১৫ ই অক্টোবর মামলা দেখিয়ে শুক্রবার রাতে হাসানুল আলমকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
ইতিপূর্বে বহদ্দারহাটে কতিপয় হোটেলে অসামাজিক কাজ চলছে খবর পেয়ে সংবাদ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হান্নান রহিম তালুকদারকে মিথ্যা অজুহাতে কতিপয় দুর্নীতিবাজ সাংবাদিকের যোগসাজশে গ্রেফতার করে। অথচ একি সময়ে ঐ হোটেল থেকে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার কারণে ৫ জন মহিলাকে চান্দগাঁও থানা পুলিশ আটক করার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
পুলিশ ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মত দুর্নীতিবাজদের লালন ও অবৈধ কাজে সহায়তা করে সাংবাদিকদের পেশাগত প্রধান দায়িত্ব সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিয়ে আসছে। যে সকল পুলিশ ও পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে আসছে তাদেরকে অবিলম্বে চাকুরীচ্যুত করে তদস্থলে দেশপ্রেমিক ও সৎ পুুলিশ অফিসার নিয়োগের আহ্বান এবং সাংবাদিক হাসানুল আলমসহ সকল গ্রেফতারকৃত সাংবাদিককে সসম্মানে মুক্তি দাবী করেন।
উল্লেখ্য যে, এই বিবৃতি প্রকাশের জন্য প্রেরণের আগে গ্রেফতারকৃত ও সংক্ষুব্ধ সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস জুডিসিয়াল কমিটির সাবেক সদস্য, বিশ্ব প্রেস কাউন্সিল নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সাথে দেখা করলে তিনি সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে পুলিশী হয়রানির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিভিন্নভাবে আজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান হওয়া দরকার।