
চট্টগ্রাম বন্দরে ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি ঘনচিনি আটক করা হয়েছে। এসব পণ্যের শুল্কহার ৬১ দশিমক ৮০ তাংশ, শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি টাকা। তিনটি কন্টেইনারে করে এসব পণ্য আনা হয়। চীন থেকে ‘সোডা অ্যাশ লাইট’ ঘোষণা দিয়ে ঢাকার ‘এইচপি ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব ঘনচিনি আমদানি করে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১৬ আগস্ট চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর খালাসের জন্য নগরীর উত্তর কাট্টলীর সিটি গেটের ‘গোল্ডেন কন্টেইনার’ ডিপোতে আনা হয়।
পরে গোপন সংবাদ পেয়ে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে কাস্টমস। ১৬ সেপ্টেম্বর কায়িক পরীক্ষা এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো প্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং কাস্টম হাউসের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিনটি ল্যাবের পরীক্ষাতেই ওই পণ্য ঘনচিনি (Sodium Cyclamate) হিসেবে চিহ্নিত হয়।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচএম কবির জানান, কাস্টমস আইন ২০২৩ এর বিধান অনুযায়ী ঘনচিনির চালানটি আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ঘনচিনি মূলত মিষ্টান্ন, বেকারি, আইসক্রিম, পানীয়, চকোলেট ও শিশু খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২০২৪ অনুযায়ী ঘনচিনি আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।