সাবেক প্রধান বিচারপতিকে কেন জামিন নয়, হাইকোর্টের প্রশ্ন

হত্যা ও দুর্নীতিসহ পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি জানিয়েছেন।

পৃথক পাঁচটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। হাই কোর্টের কজ লিস্টে রোববার ৯৮২ থেকে ৯৮৬ পর্যযন্ত ক্রমিকে মামলাগুলো ছিল।

বিচারপতি খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করেন সপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও কামরুল হক সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনারেল সুলতানা আকতার রুবিসহ অন্য আইন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

এরপর ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

৩০ জুলাই বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়াসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়, আর রিমান্ড শেষে গেল ৭ অগাস্ট খায়রুল হকবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে ৬ অগাস্ট বিধিবহির্ভূতভাবে রাজউকের প্লট গ্রহণের অভিযোগে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

দুদকের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের করা মামলায় খায়রুল হকসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা, সাবেক সদস্য (অর্থ) ও সদস্য (এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সদস্য (অর্থ) মো. আবু বক্কার সিকদার, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সাবেক সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক যুগ্মসচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই