শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার-প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘৃণা, বিদ্বেষ ও উস্কানীমূলক (হেইট স্পিচ) সব ধরনের (লিখিত, অডিও-ভিডিও) বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার-প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমসহ সব ধরনের মাধ্যম থেকে তাঁর প্রচার-প্রকাশিত বক্তব্য-বিবৃতি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) তাৎক্ষণিকভাবে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।

প্রসিকিউশনের আরজি তুলে ধরে ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে। চলমান এই তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন ঘৃণা-বিদ্বেষ ও উস্কানীমূলক বক্তব্য (হেইটস্পিচ) তিনি (শেখ হাসিনা) ইতিমধ্যে দিয়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ হয়েছে বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রসিকিউশনের দাবি, তাঁর (শেখ হাসিনার) এমন ঘৃণা-বিদ্বেষ ও উস্কানীমূলক বক্তব্য-বিবৃতি অভিযোগকারী, ভুক্তোভোগী এবং সাক্ষীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হুমকি। তাই অভিযোগকারী, ভুক্তোভোগী, সাক্ষীদের সুরক্ষা-নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্ন-সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রধান আসামি শেখ হাসিনার যেসব ঘৃণা-বিদ্বেষ ও উস্কানীমূলক বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার-প্রকাশিত হয়েছে, তা এই আদেশ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

সূত্রের কালের কন্ঠ