মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ, অর্থাৎ আরাফার দিন, মুসলিম উম্মাহর জন্য আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের একটি বিরল সুযোগ। এই দিনটির ফজিলত কোরআন ও হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
মূল প্রতিবেদন:
নবী করীম (সা.) বলেন:
“আমি আশাবাদী যে, আরাফার দিনের রোযা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহ মোচন করবে।”
— (সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
হাদীসে এসেছে:
“হজ্বে যারা আরাফার ময়দানে উপস্থিত হয়, তারা যেন মায়ের গর্ভ থেকে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মতো পাপমুক্ত হয়ে ফিরে আসে।”
— (তিরমিজি: ৮৯৯)
এই দিনে রাসূল (সা.) দীর্ঘ দোয়া করেন, যা থেকে বোঝা যায়, এটি দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়।
উল্লেখযোগ্য আমল:
• আরাফার রোযা রাখা
• অধিক ইস্তেগফার ও দোয়া
• দান-সদকা ও কোরআন তিলাওয়াত
ফিকহি মতামত:
হানাফি ও শাফেয়ী উভয় মাজহাবেই আরাফার রোযাকে মোস্তাহাব বলা হয়েছে, তবে হজ্বে উপস্থিত হজ্বযাত্রীদের জন্য তা রাখা মাকরুহ।
উপসংহার:
একটি দিনেই দু’বছরের গুনাহ মোচনের নিশ্চয়তা! এমন সুযোগ হাতছাড়া না করে আমাদের উচিত সর্বোচ্চ আমল করা।
