খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলিম, সেতারা গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছে। এর মধ্যে হামীম ও নিট এশিয়ার শ্রমিকেরা এরইমধ্যে কারখানা থেকে বেরিয়ে গেছে। নিউ এজ, ডেকো, আল মুসলিম, এথিকালসহ আরো কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বান্দু ডিজাইন কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নাসা ও ট্রাউজার লাইন পোশাক কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দ বেপারী বিন্দু বলেন, সম্প্রতি চার শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করেছে সরকার। বছরের শুরুতেই এই ইনক্রিমেন্ট পাবে বলে জানা গেছে। সেজন্য শ্রমিকদের উচিত হবে, কলের চাকা সচল রাখা এবং তৃতীয় পক্ষের কারো ফাঁদে পা না দেওয়া। দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করে উৎপাদন অব্যাহত রেখে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। যদি কোনো শ্রমিক উস্কানির ফাঁদে পা দেন তাহলে সেই দায়িত্ব তার নিজেরই নিতে হবে। শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম ভুইয়া জানান, শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করায় অন্তত ১২টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকেরা মূলত বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন। তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছেন। তবে কোনো অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না বলেও জানান তিনি।