উত্তরার মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত, যা বলল প্রত্যক্ষদর্শী

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র হাবিবুর। বিজ্ঞান বিভাগের এ ছাত্র প্রতিদিনের ন্যায় আজও গিয়েছিলেন কলেজে। ক্লাস শেষ করে বের হন বাহিরে। এরই মধ্যে বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। দৌড়ে গিয়ে দেখেন আগুন জ্বলছে।

প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার পর যুগান্তরকে এসব তথ্য জানান কলেজছাত্র হাবিবুর। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাস শেষ করে মাত্র বের হই। ওই সময় দেখি ক্যান্টিনের সামনে শব্দ হয়ে আগুন ধরে গেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশে হতাহত অনেকের দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেককে আশপাশের হাসপাতালগুলোতে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়ন করে। দেড়টার কিছু সময় পর এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির। তিনি এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। ভবনটির নাম হায়দার হল।

এদিকে, দুর্ঘটনায় দগ্ধ ২৭ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। আর তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৭ জন দগ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

এ চিকিৎসক আরও বলেন, এখনো দগ্ধ আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।