এবারও স্কুলে ভর্তি লটারিতে

এবারও স্কুলে ভর্তি লটারিতে
ফাইল ছবি

দেশের সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষে বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির সাংবাদিকদের জানান, নানাদিক বিবেচনা করে এবারও স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি লটারির মাধ্যমেই হবে। খুব শিগগির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

মাউশির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বুধবারের সভায় লটারিতে ভর্তি, কত তারিখ থেকে ভর্তির আবেদন করা যাবে, এসবসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী রবিবার নাগাদ লটারি বহাল রেখে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের একটি অংশ ভর্তি পরীক্ষার দাবি তুলেছিল। কেউ কেউ মানববন্ধনও করেছেন। তবে এখন লটারি পদ্ধতি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। এটা পরিবর্তন করতে হলে অন্তত এক বছর আগে ঘোষণা দিতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এমন ঝুঁকি নিতে চায় না।

এই সিদ্ধান্তের আগে গত সোমবার বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে লিখিত আবেদন দিয়েছিল। একইদিন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে লটারি পদ্ধতির পক্ষে অবস্থান নেয়া হয়। অভিভাবক ঐক্য ফোরাম জানায়, লটারির মাধ্যমে ভর্তি ব্যবস্থা চালু করা হলে ভর্তি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহির আওতায় আসবে, পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভর্তি কোচিংয়ের চাপ থেকে রেহাই পাবে।

উল্লেখ্য, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য গতবছরের ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। নগরীর ১০ সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন জমা পড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৬টি। এই ১০ সরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৩৬টি। অর্থাৎ, একটি আসনের জন্য গড়ে আবেদন জমা পড়েছিল প্রায় ৬২টিরও বেশি