চট্টগ্রামে প্রকৌশলীদের ব্রেকফাস্ট পাটি

চট্টগ্রামে প্রকৌশলীদের ব্রেকফাস্ট পার্টি: ‘Keep Your Connections Closer’ অনুপ্রেরণায় পেশাজীবী মিলনমেলা

🗓️ চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ | নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের নবীন ও প্রবীণ প্রকৌশলীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, নেটওয়ার্কিং ও পেশাগত উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত হলো এক প্রাণবন্ত ব্রেকফাস্ট পার্টি। “Keep Your Connections Closer” — এই অনুপ্রেরণামূলক স্লোগানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই মিলনমেলাটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শহরের ওয়াসা মোড়স্থ কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে।

এই আয়োজনের উদ্যোগ নেন প্রকৌশলী সাহিদুজ্জামান কিরন, সিইও, কে ডট কো। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অনেক সিনিয়র প্রকৌশলী, যারা তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের আলোকে তরুণদের পেশাগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী জুবায়ের, রফিক শিকদার, অসিউর রহমান, হারুন, সিরাজুল, হাসেম, হাসনাত, রিয়াদ, গিয়াস, সিরাজ, বিল্লাহ, মুন্না, আবীর, ফাহাদ, বাধন প্রমুখ।

বক্তব্যে আয়োজক প্রকৌশলী সাহিদুজ্জামান কিরন বলেন,

“আজকের যুগে সংযোগই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। পেশাগত জীবনে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল সেই সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও অর্থবহ করে তোলা।”

এছাড়া, উপস্থিত সিনিয়র প্রকৌশলীগণ তরুণ প্রজন্মকে দেশের প্রকৌশল খাতের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, সাবেক সাধারন সম্পাদক, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ বলেন, “প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের সম্ভাবনা সীমাহীন। যদি তরুণ প্রজন্ম উদ্ভাবন, গবেষণা ও নেটওয়ার্কিংয়ের দিকে মনোযোগ দেয়, তবে দেশীয় শিল্পখাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে”

কাজী ইয়াকুব সিরাজুদ্দৌলা, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং সাবেক উপদেষ্টা এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ, সমাপনী বক্তব্যে বলেন: বলেন, পেশাগত সততা, নিরবচ্ছিন্ন শেখা এবং দলগত সহযোগিতা—এই তিনটি গুণই একজন প্রকৌশলীকে ভবিষ্যতে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারে। তরুণ ও প্রবীন সকল প্রকৌশলীদের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।

আলোচনার পর অতিথিদের মাঝে নাস্তা পরিবেশন করা হয়। এক কাপ চায়ের উষ্ণতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপচারিতায় ভরে ওঠে পুরো সকালটি। হাসি-আনন্দ আর পেশাগত প্রেরণার সমন্বয়ে এটি পরিণত হয় এক স্মরণীয় মিলনমেলায়।

শেষে উপস্থিত অতিথিরা আয়োজকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এমন আয়োজন নিয়মিত করার আহ্বান জানান।