চট্টগ্রামের জনপ্রিয় লইট্টা মাছ এখানকার খাবারের এক প্রধান অনুষঙ্গ। জনপ্রিয়তার দিক থেকে লইট্টা ইলিশের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে। বাংলাদেশের মতোই ভারতের মুম্বাই ও যুক্তরাজ্যে লইট্টা মাছ সমান জনপ্রিয়। একবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাজ্যে লইট্টা মাছ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ভোক্তাদের প্রতিবাদের মুখে তা আবার প্রত্যাহার করে। সুস্বাদু এই মাছের আহরণও বাড়ছে প্রতিবছর।
আহমেদ মুনিরচট্টগ্রাম
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ০০
ফলো করুন
দুই হাতে লইট্টা মাছ ধরে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন এক বিক্রেতা। চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে
দুই হাতে লইট্টা মাছ ধরে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন এক বিক্রেতা। চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারেসৌরভ দাশ।
আমাদের এক পরিচিত বড় ভাই যেকোনো প্রসঙ্গে লইট্টা মাছ নিয়ে আলাপ জুড়ে দিতেন। হয়তো রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, বড় ভাই চট করে বলতেন, ‘কথা সেটা নয়। আজ পাঁচ কেজি লইট্টা মাছ কিনলাম। সকালে তোমাদের ভাবি আর আমি মিলে কেটেকুটে রান্না করলাম।’
এখানেই শেষ নয়। রান্নার রেসিপিও গড় গড় করে বলে যেতেন তিনি। ‘পাঁচ কেজি লইট্টা মাছের জন্য কেজিখানেক পেঁয়াজ, অল্প রসুন, টমেটো কাঁচা মরিচ আর ধনেপাতা লাগবে। প্রথমে তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিতে হবে। এরপর বাকি মসলা হলুদ, লাল মরিচ, কাঁচা মরিচ দিয়ে কষিয়ে টমেটো দিতে হবে। কষানো শেষ হলে মাছ দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তেল উঠে এলে মাছ নিচে বসে যাবে। এরপর মাখনের মতো কেটে কেটে খাও।’ এসব বলতে বলতে বড় ভাইয়ের জিবে জল আসত। বারবার ঢোক গিলতে হতো। লোভনীয় লইট্টা মাছ যেন তাঁর সামনেই এনে রাখা হয়েছে।
কেবল এই পরিচিত বড় ভাই নন, চট্টগ্রামের মানুষ হলেই লইট্টা মাছের প্রতি আলাদা টান থাকবে। এ অঞ্চলের জনসংস্কৃতির ও খাদ্যের ইতিহাসের সঙ্গে মাছটি গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। পাশাপাশি দেশকালের সীমানা ডিঙিয়ে ভিনদেশিদের পাতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লইট্টা।