জীবনে সফল হতে চাইলে যা করবেন

সাফল্য—এটি এক স্বপ্ন, যা আমাদের সবাইকে মোহিত করে। কিন্তু এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ নয়। সাফল্যের পথে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য, পরিশ্রম ও সুন্দর মানসিকতা।

চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে আপনি সহজ কিছু অভ্যাস গড়ে তুলে জীবনে সফল হতে পারেন:

অজুহাত পরিহার করুন
অজুহাত হলো একধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা, যা আপনাকে সাফল্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। কোনো কাজে ব্যর্থ হলে দোষারোপ না করে নিজের দিকটা আগে দেখুন। সমস্যার সমাধান খোঁজার মানসিকতা গড়ে তুলুন।

নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখুন
সফল মানুষরা বাইরের উৎসের চেয়ে নিজের ভেতর থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নেন। নিজের লক্ষ্য স্থির করুন এবং প্রতিদিন নিজেকে মনে করিয়ে দিন—”আমি পারব”।

প্রতিদিনকে নতুন সুযোগ ভাবুন
প্রতিটি নতুন দিন মানেই নতুন সম্ভাবনা। দিনটি কীভাবে কাটাবেন, সে পরিকল্পনা ঘুম থেকে উঠেই করে ফেলুন। আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিশ্চিত করুন—সেদিনের দায়িত্বগুলো ঠিকঠাক শেষ হয়েছে।

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন
নেতিবাচক চিন্তা সাফল্যের পথে বড় বাধা। জীবনের নানা ওঠানামায় স্থির থাকতে শিখুন। খারাপ সময়েও আশাবাদী থাকুন, আর ভালো সময়েও বিনয়ী।

আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন
নিজের উপর বিশ্বাস না থাকলে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে না। আত্মবিশ্বাস আপনাকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, যা সাফল্যের জন্য জরুরি।

ঝুঁকি নিতে ভয় পাবেন না
সাফল্যের পথে অনেক সময় ঝুঁকি নিতেই হয়। নতুন কিছু শুরু করতে ভয় নয়, বরং উৎসাহ বোধ করুন। ঝুঁকির মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে বড় সুযোগ।

ভুল স্বীকার করুন ও শিখুন
মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিন্তু যারা ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, তারাই এগিয়ে যায়। নিজের ভুল নিজেই ধরুন এবং তা শুধরে আরও ভালো কিছু তৈরি করুন।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।