পানিতে ডুবে ৫ বছরে ৮৯ শিশুর মৃত্যু

কেসস্টাডি-১ : রূপগঞ্জের ভোলাব গুতুলিয়া এলাকার নুর মোহাম্মদের সাত বছরের মেয়ে নুসরাত জাহান নুর ও নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই হাশেম মোল্লার চার বছরের মেয়ে তাজবিয়া। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিনও পাশের পুকুরে গোসল করতে নামে তারা। এক পর্যায়ে দুজনই ডুবে মারা যায়। মেয়েদের নিয়ে দুই পরিবারেরই স্বপ্ন ছিল, ছিল আশা। কিন্তু স্বপ্ন আর আশা পানিতেই শেষ। এখনো দুই পরিবার শোক বইয়ে বেড়াচ্ছে।

 

কেসস্টাডি-২ : সুজলা-শ্যামলা রূপগঞ্জের বেলদি গ্রাম। পাখির কিচিরমিচির আর শিশুদের কোলাহলে মুখরিত থাকত গ্রামটি।

আচমকা একদিন গ্রামে নেমে এলো শোকের ছায়া। একই গ্রামের তিন শিশু পুকুরে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। ওই দিন বেলদি এলাকার হাফিজউদ্দিনের ১০ বছরের মেয়ে হাবিবা, মাসিবুর রহমানের ৯ বছরের মেয়ে মারিয়া ও সাত বছরের মেয়ে মাকসুদা পুকুরে ডুবে মারা যায়।রূপগঞ্জে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটলেও তা এখনো নজরের বাইরেই থেকে যাচ্ছে সবার।

শিশুমৃত্যু রোধে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও পুকুরে বা নদীতে ডুবে মৃত্যু রোধে কোনো পদক্ষেপের নজির নেই। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। এর  প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে সরকারি প্রচেষ্টা যেমন কম, স্বাস্থ্য খাতের নীতি দলিলে এই মুত্যু রোধের বিষয়ে গুরুত্বও কম। পানিতে ডুবে মৃত্যুতে বাংলাদেশ বিশ্বে ২২তম স্থানে রয়েছে।
সূত্রের কালের কন্ঠ