প্রমাণে গুরুতর অসঙ্গতি, তবু ‘সাজানো’ মামলায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পিবিআইর প্রশ্নবিদ্ধ চার্জশিট

মূলপাতামহানগর চট্টগ্রামকোতোয়ালী

প্রমাণে গুরুতর অসঙ্গতি, তবু ‘সাজানো’ মামলায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পিবিআইর প্রশ্নবিদ্ধ চার্জশিট

সাক্ষীর কথায় গরমিল, সিসিটিভি ও কললিস্টে উল্টো প্রমাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ২ অক্টোবর ২০২৫ ৭:২২ অপরাহ্ন

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ব্যবসায়ী মোসলেমের খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠানে ঢুকছেন ১ নম্বর আসামি ইফতেখারুল করিম, জামাল উদ্দিন ও সালাউদ্দিন নামের তিন যুবক। মোসলেমের সাতকানিয়ার বাড়িতেও গিয়েছিলেন এই তিন যুবকই। কোথাও সাংবাদিক মাজেদুলের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু মোসলেমের বিপুল সম্পদের সংবাদ সম্প্রচার করার ‘শোধ’ হিসেবে মামলায় তাকে আসামি বানিয়ে দেওয়া হয়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ব্যবসায়ী মোসলেমের খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠানে ঢুকছেন ১ নম্বর আসামি ইফতেখারুল করিম, জামাল উদ্দিন ও সালাউদ্দিন নামের তিন যুবক। মোসলেমের সাতকানিয়ার বাড়িতেও গিয়েছিলেন এই তিন যুবকই। কোথাও সাংবাদিক মাজেদুলের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু মোসলেমের বিপুল সম্পদের সংবাদ সম্প্রচার করার ‘শোধ’ হিসেবে মামলায় তাকে আসামি বানিয়ে দেওয়া হয়।

শেয়ার

চট্টগ্রামে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া এক সাংবাদিককে চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। কিন্তু তদন্তপ্রতিবেদনে থাকা সাক্ষ্য, কললিস্ট এবং সিসিটিভি ফুটেজে গুরুতর অসঙ্গতি স্পষ্ট হওয়ায় মামলাটির সত্যতা ও তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে চাঁদা দাবি সংক্রান্ত কোনো প্রমাণই দেখাতে পারেননি বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযুক্ত সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, প্রয়োজনীয় প্রমাণ তিনি তদন্তকালে জমা দেওয়ার পরও সেগুলো রিপোর্টে সরিয়ে রাখা হয় এবং তদন্ত কর্মকর্তা পক্ষপাতিত্ব করে একটি সাজানো মামলাকে বৈধতা দিতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরেও এ বিষয়ে নালিশ গেছে।চট্টগ্রামেন খাতুনগঞ্জভিত্তিক ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দীনের বিপুল সম্পদের উৎস নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছিলেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম। তিনি ঢাকাভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেলের চট্টগ্রাম করেসপন্ডেন্ট। ওই প্রতিবেদনের মাত্র তিন দিন পর ১৩ মার্চ, ব্যবসায়ী মোসলেম আদালতে ‘চাঁদাবাজি’র মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, মাজেদুল ৩ মার্চ তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেছিলেন। তবে মামলার তারিখ, ঘটনার বর্ণনা ও প্রমাণপত্রের মধ্যে সুস্পষ্ট অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। যেমন ২৬ মার্চ বাদীর বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিক মাজেদুল ভিডিও ধারণ করেছেন— এমন অভিযোগ আনা হলেও মামলা দায়ের হয়েছিল তারও ১৩ দিন আগে!