বুদ্ধিজীবীর সম্মান ফিরিয়ে দেবেন কারা

একটি দেশের মেধাবী মানুষ, মেধাচর্চাই যাদের জীবন ও জীবিকা, তারাই বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে সমাজে নির্দেশিত হন। যেকোনো দেশের দেশপ্রেমিক নীতিনির্ধারকরা দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে বুদ্ধিজীবীদের মেধা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ মনে করেন। তাদের সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দেন দেশের স্বার্থে। আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করার জন্য। অন্যদিকে দুর্বল রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালক, গণবিরোধী আচরণ যারা করেন—ভুলের কুয়াশার চাদর পরিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান তাদের সবচেয়ে বড় ভীতি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়। কারণ সুস্থ ধারার, সুস্থ মানসিকতার বুদ্ধিজীবী অসত্য-অন্যায়কে গণমানুষের সামনে উন্মোচন করেন। আলোকিত করেন সাধারণ মানুষকে। তাই গণবিরোধী সরকারগুলো বুদ্ধিজীবীদের সাধারণত শত্রুজ্ঞান করে।

বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ছাত্র ছিলেন গ্রিক বীর আলেকজান্ডার। এই মেধাবী বিজেতা মিসর জয় করার পর নতুন শাসনকেন্দ্র করেন সেখানে। তার নামে মিসরের প্রধান বন্দরনগরীর নাম হয় আলেকজান্দ্রিয়া। তিনি আলেকজান্দ্রিয়াকে জ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পীঠস্থান তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

আলেকজান্ডার বুঝেছিলেন সব গবেষণার সাফল্য আসবে যদি নানা অঞ্চল থেকে প্রখ্যাত গবেষক অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীদের এসব গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে যুক্ত করতে পারেন। এই লক্ষ্যে তিনি রোম, গ্রিস, মিসরসহ অনেক দেশের বিজ্ঞানী-দার্শনিক-গবেষকদের তার প্রতিষ্ঠিত গবেষণাগারে যুক্ত করেন। নানাভাবে সম্মানিত করা হয় বুদ্ধিজীবীদের।

অন্যদিকে ১৯৭১ সালের অন্ধকারাচ্ছন্ন পাকিস্তানি শাসকদের হিংস্র চেহারা ১৪ ডিসেম্বর এলে আমাদের বিশেষভাবে মনে পড়ে। একই সঙ্গে মনে পড়ে তাদের দোসর আলবদর ও আলশামসদের কথা।

তারা তাদের হিংস্র দৃষ্টিতে টার্গেট করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের। তাদের চোখে বুদ্ধিজীবীদের অপরাধের অন্ত নেই।
সূত্রের কালের কন্ঠ