ভোটার আইডি নিতে আর লাইনে নয়, মোবাইলেই করুন নিজের আইডি ডাউনলোড!

নতুন ভোটার হিসেবে যেসব নাগরিকরা ছবিসহ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন এবং ভোটার রেজিস্ট্রেশনের পর একটি স্লিপ পেয়েছেন, তারা এখন ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (ভোটার আইডি) সফট কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজন শুধু ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি সচল মোবাইল ফোন। সরকারি ওয়েবসাইটে নির্ধারিত কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলেই এই সেবা পাওয়া সম্ভব।

প্রথমে ভোটার আইডি ডাউনলোড করতে যেতে হবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/)। সাইটটিতে প্রবেশ করে ‘রেজিস্টার করুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর স্লিপে থাকা ফরম নম্বর ও নিজের জন্ম তারিখ দিয়ে নির্ধারিত ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

পরবর্তী ধাপে ব্যবহারকারীকে তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। ঠিকানা যাচাইয়ের পর আসে মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের পালা। যদি পূর্বে কোনো নম্বর সংযুক্ত থাকে, তাহলে সেই নম্বরেই ভেরিফিকেশন কোড যাবে। না থাকলে বা পরিবর্তন করতে চাইলে নতুন নম্বর দিয়ে কোড নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। মোবাইলে আসা কোডটি নির্ধারিত ঘরে দিয়ে যাচাই সম্পন্ন করতে হয়।

পরিচয় নিশ্চিত করতে ব্যবহারকারীকে ‘Tap to wallet’ অপশনে গিয়ে ‘Agree and Continue’ বেছে নিয়ে একটি ফেস স্ক্যান সম্পন্ন করতে হবে। স্ক্যান সফল হলে ব্যবহারকারীর নাম স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে এবং নিচের দিকে থাকা ‘এড়িয়ে যান’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। সর্বশেষ, স্ক্রল করে নিচে গিয়ে ‘ডাউনলোড’ অপশন থেকে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করা যাবে।

নাগরিকদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশনের এ ডিজিটাল সেবা দ্রুত সময়েই জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহের একটি কার্যকর ও সহজ মাধ্যম হয়ে উঠছে। এতে সময় ও ভোগান্তি দুই-ই কমছে, বাড়ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রগতি।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।