মমতাজকে ছুড়ে মারা ডিম পুলিশের গায়ে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চর্চা

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর এই আদেশ দেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে মমতাজ বেগমকে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজ বেগমের আগমন ঘিরে ছিল ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।

তবে পুলিশের কড়া পাহারা উপেক্ষা করে আদালত চত্বরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে অসংখ্য ডিম নিক্ষেপ করে একটি শ্রেণি।
এ সময় মমতাজ বেগমকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আর হেলমেট পরিধান করে আনা হয়। আদালতের অভ্যন্তরে মমতাজকে এজলাসে তোলার সময়ও ছুড়ে মারা হহয় ডিম।

এই ডিম মমতাজের সঙ্গে থাকা পুলিশের শরীরেও পড়ে। একজন নারী পুলিশের শরীরে ডিম লেপ্টে যায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ চর্চা হচ্ছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান।

তবে মমতাজ বেগমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে মানিকগঞ্জ কোর্টের (আদালতে) ওসি আবুল খায়ের নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জ কোর্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর তার নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে মমতাজ বেগমের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ঢাকায় বেশ কিছু থানায় করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম চারদিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।