রাজধানীর সায়েদাবাদে একটি আবাসিক হোটেল থেকে ১২ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে ঘাড় মটকে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছেলেটিকে হোটেলে নিয়ে আসা আল-আমিন নামের এক ব্যক্তি পলাতক রয়েছে।
সোমবার দুপুরে সায়েদাবাদের আনোয়ারা নামের একটি আবাসিক হোটেলের পাঁচতলার একটি কক্ষ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. হাসান বশির বলেন, গত ১২ জুলাই আল-আমিন নামে এক ব্যক্তি আনোয়ারা হোটেলের একটি কক্ষে ওঠেন। পরদিন ১৩ জুলাই বিকালে তিনি একটি শিশুকে সঙ্গে করে রুমে আনেন এবং পরে রুমে রেখে বাইরে চলে যান। ওইদিন রাতে আর ফিরে আসেননি।
তিনি আরও জানান, ১৪ জুলাই বেলা ১১টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ আল-আমিনের অনুপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং রুমে গিয়ে শিশুটির লাশ দেখতে পায়। পরে তারা বিষয়টি আমাদের জানায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচতলার ওই কক্ষের বিছানা থেকে লাশ উদ্ধার করি।
পুলিশ জানায়, নিহত শিশুটির পরনে ছিল চেক শার্ট ও জিন্স প্যান্ট। লাশে ঘাড় মটকানোর ও শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার চোখে ও পায়ুপথে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে; যা শিশুটির ওপর যৌন সহিংসতার ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এসআই হাসান বশির আরও বলেন, আল-আমিন প্রায়ই এই হোটেলে অবস্থান করতেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।