সাতকানিয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তার কিরিচের কোপে নিহত এক দিনমজুর

প্রতিবেদন করেন রিপোর্টার বেলাল হোসেন, চট্টগ্রামের কন্ঠ, লোহাগাড়া

সাতকানিয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তার কিরিচের কোপে নিহত এক দিনমজুর

পুকুর লাগিয়ত ও সীমানা প্রাচীরের প্রতিবাদের বলি- নিহত কবির

চট্টগ্রামের কন্ঠ।

প্রকাশিত হয়ছে সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ইং

শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আশংকা প্রকাশ করে সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিপক্ষের আঘাত থেকে রেহায় পেলনা টমটম চালক, প্রতিপক্ষের দা এর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৮ঘন্টা পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রিক্সা চালক নুরুল কবির

শনিবার বিকালে উপজেলার এওচিয়ার ৪নং ওয়ার্ডের ছড়ারকুল সুয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় ১জন নিহত নিহত নুরুল কবির একই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে এবং আহতরা হলেন তার ভাই জানে আলম(৩০),মো: আলম(২৫)ও মো:আবছার(৩৫) ও আমির আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম(৫৫)।জানা যায়, ছড়ারকুল সুয়ার বাপের বাড়ির আব্দুল মজিদের ছেলে সাতকানিয়া উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার শহিদুল ইসলাম (৩৫) নজির আহমদ(৪৫)ও নেয়াজুর রহমান এবং আব্দুস সোবানসহ মিলে ভুক্তভোগী নুরুল কবিরদের বাড়িভিটার পাশে একটা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে চাইলে নুরুল কবিরদের ব্যবহৃত টয়লেট উচ্ছেদ করে ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ ও তার ছেলেরা।সেদিনও উভয় পক্ষে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিল।এই ঘটনায় তখন নিহত নুরুল কবির আশংকা প্রকাশ করে ৩১শে আগস্ট সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছিলেন।এদিকে ৬ই সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে একই বাউন্ডারি ওয়াল পুনরায় নির্মাণ করার সময় রিক্সাচালক নুরুল কবিরদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিতে চাইলে উভয় পক্ষে আবারো গন্ডগোল শুরু হয়।আব্দুল মজিদ ও তার ছেলেদের দা এর ধারালো কোপে মাথায় শরীরে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নুরুল কবির, তাকে বাঁচাতে মা ও ভাই বোনেরা গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করূ হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আহতের জেঠাত ভাই মো:হারুন ্স্থা্নয়রা উদ্ধার করে আহতদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নুরুল কবিরকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহতের মা মমতাজ বেগম বলেন,৩১শে আগস্ট আমাদের টয়লেট ও রাস্তা বন্ধ করে আব্দুল মজিদ ও তার ছেলেরা নির্মাণ কাজ করতে গেলে আমরা অসহায় হয়ে পুলিশের আশ্রয় নিই,তখন আব্দুল মজিদ ও তার ছেলে শহিদ ২/৩শত ছেলেপেলে আনলে আমরা ভয়ে চুপ থাকি তখন অবশ্যই পুলিশ ও ছিল।কিন্তু শনিবার আবারও আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে চাইলে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের উপর এই ঘটনা ঘটায়।