৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ

পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা পুনরায় চালু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া-চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাল রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, অন্য দেশগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। তাই আমি রণ মন্ত্রণালয়কে (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) একই হারে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছি।

পরীক্ষা কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি ট্রাম্প। তবে শিগগিরই প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কিছুদিন পরই মার্কিন সেনাবাহিনীকে এমন প্রশ্নবিদ্ধ নির্দেশনা দিলেন ট্রাম্প। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বুরেভেস্তনিক বিশ্বের যে কোনও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে টেক্কা দিতে সক্ষম এবং এর পাল্লা এত বেশি দীর্ঘ যে সেটা ‘অসীম’ বললে অত্যুক্তি করা হবে না বলে ক্রেমলিনের তরফ থেকে জানানো হয়।

বুধবারের পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতার বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন। তবে মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডার সংস্কার ও উন্নত করার কোনও বিকল্প আছে বলে তার মনে হয় না।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে আমাদের কাছে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এ তালিকায় দ্বিতীয় রাশিয়া এবং অনেক দূরে হলেও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন।

চীনের পারমাণবিক কর্মসূচি পাঁচ বছরের মধ্যে একই অবস্থানে পৌঁছে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।

ট্রাম্পের এই নির্দেশনা দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশটি ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের সর্বশেষ পরীক্ষা পরিচালনা করে। নেভাডা অঙ্গরাজ্যের একটি ভূগর্ভস্থ কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা চালানো হয়। বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠান লোস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির তথ্য অনুযায়ী, ‘ডিভাইডার’ নামের ওই প্রকল্পটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের এক হাজার ৫৪তম পরীক্ষা।

এর কিছুদিন পরই স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তিকে ঘিরে পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ।