চট্টগ্রাম বন্দরে চাঁদাবাজ কারা, নৌ উপদেষ্টার কাছে জানতে চান মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম বন্দরে চাঁদাবাজ কারা, নৌ উপদেষ্টার কাছে জানতে চান মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম বন্দরে চাঁদাবাজ কারা, নৌ উপদেষ্টার কাছে জানতে চান মেয়র শাহাদাত

 অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বন্দরে দিনে দুই কোটি টাকার যে চাঁদাবাজির কথা নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেছেন, সেই চাঁদাবাজ কারা, তা উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) জনসংযোগ শাখার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে মেয়র এ বিষয়ে কথা বলেন।

সিসিসির জনসংযোগ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ভিডিও বার্তাটি মেয়রের সম্মতিতে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

ভিডিও বক্তব্যে মেয়র বলেন, “নৌ পরিবহন উপদেষ্টা সাহেব সম্প্রতি একটা কথা বলেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে আমি বলছি। যেহেতু ওই কথাতে সেদিন ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এ ধরনের এসেছে যে, মেয়রদের চোখ সব সময় বন্দরের দিকে। রক্ষক সবসময় ভক্ষক হয়ে যায়।

“তো সেই প্রেক্ষাপটে আমি নৌ পরিবহন উপদেষ্টাকে ফোন করেছিলাম। উনি বলেছেন যে, বিগত মেয়রদের কথা উনি বলেছেন; বর্তমান মেয়রের কথা উনি বলেননি।”

মেয়র শাহাদাত বলেন, “তবে উনার আরেকটি কথা, যেখানে চট্টগ্রামবাসীর জিজ্ঞাস্য এবং মেয়র হিসেবে অবশ্যই আমি সেটা জিজ্ঞাসা করতে পারি। উনি দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার একটা চাঁদার কথা বলেছেন। দৈনিক বন্দর থেকে কারা নাকি চাঁদাবাজি করছে। আমরা স্পষ্ট জানতে চাই, কারা সেখানে চাঁদাবাজি করছে।”

মেয়র বলেন, “এখানে দুই কোটি টাকাও যদি চাঁদাবাজি হয় প্রতিদিন, তাহলে মাসে হবে ৬০ কোটি টাকা; বছরে হবে ৭২০ কোটি টাকা। কাজেই কারা এই চাঁদাবাজি করছে? উনি (নৌ পরিবহন উপদেষ্টা) নাম দিক।

“আমি মেয়র হিসেবে ঘোষণা করছি, আমরা চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে সেসব চাঁদাবাজকে প্রতিহত করব।”

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।