সংসদে কোনো নারী কোটা থাকা যাবে না: ইসলামী আন্দোলন

“আমরা তো কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তাহলে এখানে নারীদের জন্য কোটা রাখা হলে বলতে হবে, আন্দোলন সাকসেস হয়নি। নারীদের জন্য কোন কোটা থাকবে না।”

জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য কোনো সংরক্ষিত আসন দেখতে চান না বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলনের সমাবেশে তিনি বলেন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা হলে তাদের দুর্বল ভাবা হয়।

সমাবেশ উপলক্ষ্যে কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল ইসলামী যুব আন্দোলনের। শুক্রবার দুপুর নাগাদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল নেতাকর্মীতে ভরে ওঠে।

সমাবেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা যানবাহনের কারণে শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন সড়কে যান চলাচল একরকম বন্ধ হয়ে যায়।

সমাবেশ ফয়জুল করীম বলেন, “সংসদে ৫০৫টা আসন রাখা হয়েছে (সংস্কার কমিশনের সুপারিশে)। আসন কম হোক, বেশি হোক, সব জায়গায় নির্বাচনের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য নির্বাচন হতে হবে।”

সংবিধান সংস্কারে অন্তবর্তীকালীন সরকারের গঠিত কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে, তাতে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বলা হয়েছে, যেখানে আসন থাকবে ৫০৫টি। এর মধ্যে নিম্নকক্ষে থাকবে ৪০০টি আসন। এর মধ্যে ১০০টি নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই সুপারিশ প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম বলেন, “নারীদের জন্য সংরক্ষিত একশ আসন, এটা আমরা মানি না। নারীদের জন্য এই আসন রাখা হলে তাদের দুর্বল ভাবা হয়।

“আমরা তো কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। তাহলে এখানে নারীদের জন্য কোটা রাখা হলে বলতে হবে, আন্দোলন সফল হয়নি। নারীদের জন্য কোনো কোটা থাকবে না।”

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মুফতি ফয়জুল বলেন, “সংস্কারের পরেই নির্বাচন হবে। আজ যারা সংস্কারে বাধা সৃষ্টি করেছেন, আমি বলব ১৬ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন?

“প্রতিবার ঈদের পর আন্দোলন হবে বলেছেন। হাজারো ঈদ চলে গেল আপনারা কিছু করতে পারেননি। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের ভিত্তিতে যে অর্জন, সেটিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছেন।”

তিনি বলেন, “৫ অগাস্টের পরে আবারও চাঁদাবাজি-দখলবাজি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজি-দুর্নীতি দেখতে চায় না। যারা পাঁচবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

“বাংলাদেশের মানুষ ইসলামকে চায়; যারা খাঁটি ইসলামের চর্চা করে। আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম এখন চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে।”

যুব আন্দোলনের সভাপতি নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমও।