রোযার বিধান, ভঙ্গের কারণ ও কাফফারা

মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
রোযা রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে, যা প্রতিটি মুসলিমের জানা জরুরি। রোযার ভঙ্গের কারণ ও কাফফারার বিষয়েও ইসলামে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।

রোযা ভঙ্গের কারণসমূহ
১. ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া-দাওয়া বা পান করা
২. জানিয়ে বা ভুলে রোযা ভঙ্গ করা (যদি স্মরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ না করা হয়)
৩. রোযার সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা
৪. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা
৫. মাসিক বা প্রসবজনিত রক্তপাত শুরু হওয়া

রোযা ভঙ্গ হলে করণীয় (কাফফারা ও কাজা)
যদি কেউ ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেলে, তবে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।
কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভেঙে ফেলে, তবে তাকে দুটি জিনিস করতে হবে:
কাজা (রোযার পরিবর্তে পরবর্তী সময়ে একটি রোযা রাখা)
কাফফারা (একাধারে ৬০ দিন রোযা রাখা অথবা ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো)
কাফফারার দলিল:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এক সাহাবিকে বলেন:

“যদি তুমি রোযা রেখে ভেঙে ফেলো, তবে ৬০ দিন একটানা রোযা রাখো, অথবা ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়াও।” (বুখারি, মুসলিম)

রোযা অবস্থায় যা করা জায়েজ
১. মিসওয়াক করা বা দাঁত ব্রাশ করা
২. সুগন্ধি ব্যবহার করা
৩. গোসল করা (তবে সাবধানতা অবলম্বন করা)
৪. রোযার সময় ইনজেকশন গ্রহণ করা (যদি তা পুষ্টিকর না হয়)

উপসংহার
রোযা শুধু ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য, সংযম এবং শারীরিক সুস্থতার অন্যতম মাধ্যম। কুরআন, হাদিস ও বিজ্ঞানের আলোকে এটি মানুষের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। তাই, একজন মুমিনের উচিত নিয়মিত রোযা পালন করা, রমজান মাসের ফজিলত অর্জনের চেষ্টা করা এবং ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।