রমজানের শেষ দিকে চাঁদ দেখার অপেক্ষা শুরু হয়েছে এবং মুসলিম বিশ্বের কিছু অংশে একই দিনে ঈদ উদযাপনের দাবি উঠেছে। তবে কোরআন ও হাদিস অনুসারে চাঁদ দেখা সুনির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি অনুসরণ করেই করতে হবে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“প্রত্যেক অঞ্চল তাদের নিজস্ব চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদ পালন করবে।” (সহিহ মুসলিম: ১০৮৭)
এই হাদিস অনুযায়ী, প্রত্যেক দেশ তাদের নিজস্ব চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ পালন করবে। ইসলামের ইতিহাসে কখনও সারা বিশ্ব একদিনে ঈদ করেছে এমন নজির নেই।
তবে আধুনিক যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদ দেখার হিসাব করা সম্ভব হলেও, ইসলামী শরীয়ত অনুসারে স্বচক্ষে দেখা বা বিশ্বস্ত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।
👉 সারসংক্ষেপ:
-
রমজানের শেষ প্রান্তে এসে ঈদের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
-
শেষ দশকে ইতেকাফ ও লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম।
-
ফিতরা ও যাকাত গরিবদের জন্য ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।
-
বিশ্বজুড়ে একই দিনে ঈদ উদযাপনের আলোচনা চললেও ইসলামী শরীয়ত অনুসারে স্থানভেদে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ পালন করা শ্রেয়।