স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তোরণের ফলে শুল্ক বাড়বে। একই সঙ্গে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম বাণিজ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসায় তার প্রভাবও পড়বে। এতে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ শতাংশ কমবে।গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং জার্মানভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেডরিক-ইবার্ট-স্টিফটাং (এফইএস) বাংলাদেশ যৌথভাবে সেমিনার আয়োজন করে।সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এসব কথা বলেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক।কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির সাবেক এই প্রধান বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ফলে কেবল এ অঞ্চলেই বাংলাদেশের রপ্তানি কমবে ২১.১ শতাংশ। বাংলাদেশ যখন এলডিসির পরে ধুঁকতে থাকবে, তখন ভিয়েতনাম কেবল মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে ইইউতেই ৮২ শতাংশ রপ্তানি বাড়াতে পারবে। সংকট মোকাবেলায় এলডিসি উত্তরণের পরে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য শুল্ক কম বৃদ্ধির জন্য আলোচনা বাড়ানো, জিএসপি প্লাসের সক্ষমতা অর্জন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি এবং শিল্পে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করেন এই অর্থনীতিবিদ। এ সময় বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান গবেষণার এ ফলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, ‘আমি ভাবি না যে এলডিসির পরে রপ্তানি ২০ শতাংশ কমে যাবে, বরং আমাদের প্রবৃদ্ধি ধীরে হতে পারে।’ পোশাক রপ্তানি খাত ভয়াবহ সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব কিছু আমাদের ব্যবসার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধি কমবে কিন্তু রপ্তানির পরিমাণ কমবে না। আমাদের এখন নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ প্রয়োজন।
